Blog

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা (৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেণী)

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা (৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেণী)

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা (৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেণী)  জন্য প্রকাশ করা হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক এই নির্দেশিকা উন্নয়নের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এই নির্দেশিকাটি সকল পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের জন্য আপলোড করেছে। যাতে সকল প্রার্থীরা এ বিষয়ে সম্পর্কে সঠিক দিক নির্দেশনা পায়। নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী প্রতিটা বিষয়ের ক্ষেত্রে দুইটি সমষ্টির মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এবং দুটি সমষ্টি মূল্যায়নের মধ্যে একটি ছয় মাস অন্তর অন্তর গ্রহণ করা হবে। যারা এই নির্দেশিকাটি অনুসরণ করতে যাচ্ছেন এবং অনুসরণ করার জন্য নির্দেশিকাটি অনলাইনে খুঁজছেন তাদের জন্য আজকের আর্টিকেলটি। কারণ আপনি খুব সহজে এ বিষয়ে সম্পর্কে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন সকল বিষয় পিডিএফ।

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়ন নির্দেশিকা (৬ষ্ঠ ৭ম ও ৮ম শ্রেণী)

এটি মূলত শিখন কালীন মূল্যায়ন। এবং সন্ন্যাসিক সমষ্টি মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতার ওপর ভিত্তি করে মূল্যায়নের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। এছাড়াও সন্ন্যাসিক সমষ্টিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট একটি অ্যাসাইনমেন্ট ও কাজ শিক্ষার্থীদের সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। বাৎসরিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অনুরূপ একটি নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এসাইনমেন্টে শিক্ষার্থীরা তা সমাধান করবেন। এই কাজ চলাকালে শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ কাজের প্রক্রিয়া ফলাফল ইত্যাদি সবকিছু মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে। নির্ধারিত কাজ/অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করে এই কার্যক্রম চলাকালে বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীকে সহায়তা করবেন। তবে কাজের প্রক্রিয়া কি হবে বা সমস্যা সমাধান কিভাবে করতে হয় তা শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করবে। কাজের বিভিন্ন ধাপে সংশ্লিষ্ট পারদর্শিতার নির্দেশকে আপনি শিক্ষার্থীর অর্জনের মাত্রা কিভাবে নিরূপণ করবেন তার বিস্তারিত নির্দেশনা পরবর্তী অংশে প্রদান করা হয়েছে।

৭ম শ্রেণির বার্ষিক মূল্যায়ন নির্দেশক পিডিএফ

যে কোন শিক্ষাবর্ষের শুরু থেকে বাংলা বিষয়ের শিক্ষায়নকালীন মূল্যায়ন চলমান রয়েছে। যা শিখন অভিজ্ঞতা অভিজ্ঞতা সময়ের বিভিন্ন ধাপে শিক্ষকরা পরিচালনা করবেন। এই মূল্যায়নের একটা বড় অংশ হলো শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ফিডব্যাক প্রদান করা। যার মূল উদ্দেশ্য তাদের শিখনে সহায়তা দেয়। তাই এই চলমান মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর পাঠ্য বই এবং তাদের করা বিভিন্ন কাজের নমুনা যেমন পোস্টার মডেল প্রশ্নপত্র প্রতিবেদন ইত্যাদির মাধ্যমে সংরক্ষিত থাকবে। এর বাইরে ও বছরজুড়ে প্রতিদিন শিখন অভিজ্ঞতা শেষে নির্ধারিত তার নির্দেশক ব্যবহার এবং আপনার শিখন কারীর মূল্য রেকর্ড রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়। এছাড়া সন্ন্যাসিক মূল্যায়নের সময় নির্ধারিত কাজের ভিত্তিতে নির্দেশকের সাহায্যে আপনারা মূল্যায়নের তথ্য রেকর্ড করবেন। পরবর্তীতে শিখন কালীন মূল্যায়নের ইনপুট ও সন্ন্যাসিক মূল্যায়নের ইনপুট এর সমন্বয় আপনারা ট্রান্সক্রিপ্ট তৈরি করবেন।

বার্ষিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সাধারণ নির্দেশিকা

শুরুতেই সন্ন্যাসিক মূল্যায়নের অভিজ্ঞতা মনে করিয়ে দিয়ে বাংলা বিষয়ের বাৎসরিক মূল্যায়ন কিভাবে পরিচালিত হয় তার নির্দেশনা গুলি শিক্ষার্থীদের জানাবেন। এই মূল্যায়ন চলাকালে শিক্ষার্থীর কাছে প্রত্যাশা কি সেটা যেন তারা স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারে। সপ্তম শ্রেণীর মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত কাজটি ভালোভাবে বুঝে গিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিন যাতে সবাই ধাপগুলো ঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারেন।

শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক মূল্যায়নের জন্য প্রদত্ত কাজটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হবে। সর্বমোট তিনটি সেশন বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রথম দুটি সেশনে ৯০ মিনিট করে এবং শেষ সেশনে দুই ঘন্টা সময়ের মধ্যে নির্ধারিত কাজগুলো শেষ করবে। তবে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বেশি শিক্ষক শেষ সেশনে কিছুটা বেশি সময় ব্যবহার করতে পারেন। বাৎসরিক সমষ্টিক মূল্যায়নের প্রদত্ত রুটিন অনুযায়ী সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন।

শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ কাজ সেশন চলাকালেই করবে, বাড়িতে গিয়ে করার জন্য খুব বেশি কাজ না রাখা ভালো। মনে রাখতে হবে এই পুরো প্রক্রিয়া যাতে শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপ সৃষ্টি না করে এবং পুরো অভিজ্ঞতাটি যেন তাদের আনন্দময় হয়।।

বাৎসরিক সমষ্টিক মূল্যায়নের জন্য নির্ধারিত শিখন যোগ্যতা সমূহ

পরিবেশ পরিস্থিতিকে বিবেচনা নিয়ে ব্যক্তির আগ্রহ চাহিদা অনুযায়ী প্রসঙ্গের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থেকে যোগাযোগ করতে পারা। ব্যক্তি, সামাজিক পরিষদের প্রমিত বাংলায় কথা বলতে পারা। শব্দের গঠন ও অর্থবৈচিত্রকে বিবেচনায় নিয়ে ভাব ও যদি অনুযায়ী বিভিন্ন সংগঠনের বাক্য তৈরি করতে পারা। প্রয়োগিক, বর্ণনামূলক, তথ্যমূলক, বিশ্লেষণমূলক ও কল্পনা নির্ভর কোন লেখা পড়ে বিষয়বস্তু বুঝতে পড়া ও লেখকের দৃষ্টিভঙ্গের সঙ্গে নিজের মতের পার্থক্য উপলব্ধি করা।

সাহিত্যের বুঝে নিজের জীবন ও পারি পারিসির সঙ্গে সাহিত্যের সম্পর্ক তৈরি করে কোন নির্দিষ্ট বিষয়ে সৃজনশীল উপায় প্রকাশ করা। লিখতে পারা। লেখা ও উপস্থাপনের নিজের পর্যবেক্ষণ ও অনুভূতির প্রতিফলন করতে পারা। কোন বক্তব্য ঘটনা সমালোচনা গ্রহণ করতে পারা এবং ইতিবাচক অন্যের মদের সমালোচনা করতে পারা।

বার্ষিক মূল্যায়ন প্রকল্প সেমিনার বার্ষিক মূল্যায়নের জন্য শিক্ষার্থীরা এই সেমিনার আয়োজন করবে। সে উদ্দেশ্যে শিক্ষার্থীদের শিক্ষক কিছু দলে বিভক্ত করবেন। শিক্ষার্থীরা এককভাবে একটি রচনা তৈরি করবে। তারপর দলে দলে মিলে আলোচনা করবে। এবং নিজেদের দলের সকল সদস্যদের কাজকে বিশ্লেষণ মূলক রচনা বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মূল্যায়ন করবে। একে অপরের লেখা মূল্যায়ন করার পর নিজেদের লেখা সমন্বয় করে একটি লেখায় রূপান্তর করবে। সেটি তৃতীয় দিন সেমিনারে সকলের সামনে উপস্থাপন করবে। উপস্থাপনার পর প্রতিদলের লেখাকে বাকি দলের সদস্যদের মতামত প্রদান করবে।

Related Articles

Back to top button