Driving License Exam Questions, BRTA Licence Fee 2024

Driving License Exam Questions, BRTA Licence Fee 2024

Learning concerning the BRTA driving license examination questions is an important a part of getting a driving license efficiently. By passing this examination, you’ll be eligible to drive a car legally in our nation. And as a citizen, it’s your responsibility to abide by this regulation.

Below, we’ll cowl extra concerning the driving license examination questions, charges, and costs calculator. Make certain to learn the complete factor so that you simply don’t miss out on any essential element. Without any additional ado, let’s dive into the dialogue proper now.

Driving License Exam Questions

To do nicely within the driving license check, you want to put together for the questions correctly. That’ll can help you get the very best marks within the examination and go the check simply. Having respectable preparation positively is useful whenever you’re answering the questions.

You can go to the BRTA Exam Questions Guideline to get an concept about these query varieties. However, you’ll see that the questions are fairly simple to reply and also you received’t have any bother getting ready your greatest for the examination.

Check additionally: New Traffic Rules of Bangladesh & Fine List 2024

BRTA লিখিত পরীক্ষার সম্ভাব্য প্রশ্ন ও সমাধান

১) প্রশ্নঃ সুপারিকল্পিত ভাবে রাস্তায় যানবাহন পরিচালনার দায়িত্ব কোন কোন সংস্থার উপর ন্যাস্ত?

উত্তরঃ সুপরিকল্পিত ভাবে রাস্তায় যানবাহন পরিচালনার দায়িত্ব নিম্নে লিখিত সংস্থার উপর ন্যাস্ত-

ক) যোগাযোগ মন্ত্রণালয়              খ) সড়ক ও জনপথ বিভাগ

গ) ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ              ঘ) সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ

ঙ) ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র

২) প্রশ্নঃ রাস্তায় চলমান গাড়ীর কাগজপত্র পরির্দশন করার ক্ষমতা রাখেন কারা?

উত্তরঃ ক) পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর, সার্জেন্ট ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

খ) বি.আর.টি.এ এর কর্মকর্তা।

গ) মোবাইল কোর্টের ম্যাজিষ্ট্রেট

ঘ) শুধুমাত্র উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তি কাগজ পত্র পরির্দশন করবেন।

৩) প্রশ্নঃ দুর্ঘটনা এড়াবার জন্য রাস্তা ব্যবহারকারীকে কি করতে হবে?

উত্তরঃ দুর্ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক রাস্তা ব্যবহারকারীকে নিম্নের ৩টি বিষয় জানা প্রয়োজনঃ

ক) ট্রাফিক আইন জানতে হবে।

খ) ট্রাফিক আইন কার্যকরী করতে হবে।

গ) ট্রাফিক আইন কার্যকরী করবার সদিচ্ছা থাকতে হবে।

৪) প্রশ্নঃ নিরাপদ ভ্রমনের জন্য ইঞ্জিন ষ্টার্ট করে পাঁচ থেকে দশ (৫-১০) গজের মধ্যে অবশ্যই কি চেক করতে হয়?

উত্তরঃ ব্রেক প্যাডেলে চাপ প্রয়োগ করে ব্রেকের কার্যক্ষমতা।
৫) প্রশ্নঃ নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার সাধারণ নিয়ম কি কি?

উত্তরঃ ক) গতি যত মাইল তত গজ দূরত্ব বজায় রাখা।

খ) গতি যত কিঃ মিঃ তত মিটারের অর্ধেক মিটার অথবা দুই সেকেন্ড সময়ের দূরত্ব বজায় রাখা।
৬) প্রশ্নঃ গতি কিসের উপর নির্ভর করে?

উত্তরঃ গতি সাধারনত নির্ভর করে- দৃষ্টিগোচরতার উপর/ আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর/ যানবাহনের উপর/ গাড়ীর অবস্থার উপর/রাস্তার উপর/চালকের উপর।
৭) প্রশ্নঃ গাড়ী দাঁড় করাতে চালক কিভাবে হাতের সংকেত দিবে?

উত্তরঃ হাত বের করে এলবো জয়েন্ট হতে হাত ৯০০ বেন্ট (ইবহঃ) করে উপরের দিকে উঠাবে।

৮) প্রশ্নঃ ডান দিকের লেন সব সময় কারা ব্যবহার করবেন?

উত্তরঃ ওভারটেক করা গাড়ী।

৯) প্রশ্নঃ রাস্তার মাঝখানের অখন্ডিত ডাবল হলুদ লাইন-এর অর্থ কি?

উত্তরঃ আইল্যান্ড।

১০) প্রশ্নঃ মাঝখানের অখন্ডিত সাদা লাইন এর অর্থ কি?

উত্তরঃ ওভারটেক করা যাবে না।

১১) প্রশ্নঃ ছোট ছোট বিভক্ত সাদা লাইন এর অর্থ কি?

উত্তরঃ ওভারটেক করা যাবে

১২) প্রশ্নঃ কোন কোন গাড়ী ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করতে পারেন?

উত্তরঃ জরুরী কাজে নিয়োজিত গাড়ী ভিআইপি গাড়ী/অগ্নিনির্বাপক গাড়ী/এম্বুলেন্স ট্রাফিক নিয়ম ভঙ্গ করতে পারেন।

১৩) প্রশ্নঃ জরুরী গাড়ী কি ধরনের সিগন্যাল ব্যবহার করেন।

উত্তরঃ ক) ভিআইপি গাড়ীঃ লাল বাতি ও সর্তক সংকেত ব্যবহার করেন।

খ) অগ্নিনির্বাপক গাড়ীঃ লাল-নীল বাতি ও বেল বাজিয়ে থাকেন।

গ) এম্বুলেন্সঃ লাল-নীল বাতি ও আলাদা হর্ন (সাইরেন) ব্যবহার করেন

১৪) প্রশ্নঃ জরুরী গাড়ীকে অন্যান্য যানবাহন কি ভাবে সুযোগ দিয়ে থাকে?

উত্তরঃ অন্যান্য যানবাহন চালকদের উচিত হবে যতটুকু সম্ভব রাস্তার বামে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা।

১৫) প্রশ্নঃ ইন্টারসেকশন কাকে বলে?

উত্তরঃ একাধিক রাস্তার মিলিত স্থানকে ইন্টারসেকশন বলে।

১৬) প্রশ্নঃ ইন্টারসেকশনে ঢুকার আগে চালকের কি করণীয়?

উত্তরঃ গতি কম করা/নিম্ন গিয়ার ব্যবহার করা/নিজের রাস্তায় থাকা, প্রয়োজনে থামা তারপর সর্তকতার সাথে যাওয়ার চেষ্টা করা।

১৭) প্রশ্নঃ ইন্টারসেকশনে ঢুকার পরে কি করণীয়?

উত্তরঃ সর্তকতার সাথে থামাতে প্রস্তুত থেকে অগ্রসর হওয়া।

১৮) প্রশ্নঃ ডান দিকে মোড় নিতে গেলে লাল বাতি জ¦লে উঠলে গাড়ী রাস্তার কোন পাশে দাঁড় করাবেন?

উত্তরঃ রাস্তার ডান পার্শ্বে।

১৯) প্রশ্নঃ লাল বাতি শেষে সবুজ বাতি জ্বলে গেলে কোন পথের গাড়ী আগে সুযোগ পাবে?

উত্তরঃ সোজা যাওয়ার গাড়ী আগে সুযোগ পাবে।

২০) প্রশ্নঃ অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং সাধারনত কোথায় থাকে?

উত্তরঃ গ্রাম অঞ্চলে যেখানে সারাদিনে ২-৩টি ট্রেন চলাচল করে।

২১) প্রশ্নঃ কোন কোন স্থানে হর্ন বাজানো নিষেধ?

উত্তরঃ যেখানে হর্ণ বাজানো নিষেধ বোর্ড আছে। হাসপাতাল এলাকা/আবাসিক এলাকা/আদালত/কোর্ট ভবন/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়।

২২) প্রশ্নঃ ওভারটেকিং এর সময়ে দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায় কি?

উত্তরঃ দর্শন আয়নার সাহায্যে পিছনের গাড়ীর গতি বিধি লক্ষ্য করা

২৩) প্রশ্নঃ ওভারটেক করার পূর্বে চালকের কর্তব্য কি?

উত্তরঃ দর্শন আয়নার সাহায্যে/ডানদিকের রাস্তা নিরাপদ কিনা লক্ষ্য রাখা/সম্মুখ হতে কোন গাড়ী আসছে কিনা দেখে নিরাপদ মনে করলে ইন্ডিকেটর দিয়ে ওভারটেক করা।

২৪) প্রশ্নঃ গাড়ীর সাধারণত স্কিডিং কোথায় হয়ে থাকে?

উত্তরঃ ভিজা রাস্তায় অতি দ্রæত চালালে, সকল হুইল সিলিন্ডার ব্রেক সমান ভাবে কাজ না করলে, রাস্তা পিচ্ছিল বা কর্দমাক্ত হলে, রাস্তায় বরফ বা ঘাস থাকলে।

Driving License Written Exam pattern Question and Answer (According to BRTA – Bangladesh Road Transport Authority)

২৫) প্রশ্নঃ গাড়ী স্কিডিং করলে চালকের করণীয় কি?

উত্তরঃ এক্সিলারেটর প্যাডেল হতে পা উঠিয়ে গতি কমাবে। যে দিকে স্কিড করেছে সেই দিকে আস্তে স্টিয়ারিং কাটলে/ঘুরালে পিছনের অংশ স্কিডিং এর দিকে যাবে এবং সামনের অংশ এগিয়ে নিরাপদ স্থানে ঘুরে আসবে। তারপর গাড়ীর গতি সর্বনিম্ন হলে ব্রেক দিয়ে থামাবেন।

২৬) প্রশ্নঃ একজন যাত্রীর শ্বাস প্রশ্বাসে কষ্ট হলে চালক/কন্ডাক্টারের দায়িত্ব কি?

উত্তরঃ উক্ত ব্যক্তির মুখে মুখ লাগিয়ে শ্বাস দিবে এবং বুকে মৃদু চাপ প্রয়োগ করবে এবং পরে নিকটতম হাসপাতালে নিতে হবে।

২৭) প্রশ্নঃ ইঞ্জিন ঠান্ডা রাখে কিভাবে?

উত্তরঃ বাতাস বা পানির সাহায্যে।

২৮) প্রশ্নঃ গরম রেডিয়েটরে ঠান্ডা পানি ঢাললে ইঞ্জিনের কি ক্ষতি হতে পারে?

উত্তরঃ ইঞ্জিন ব্লক ক্রেক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

২৯) প্রশ্নঃ রেডিয়েটরের সাথে কয়টি হোজ পাইপ সংযুক্ত থাকে?

উত্তরঃ দুইটি হোজ পাইপ থাকে।

৩০) প্রশ্নঃ কি কি কারণে ইঞ্জিন বন্ধ হয় বা ষ্টার্ট হয় না?

উত্তরঃ ট্যাংকে ফুয়েল না থাকলে/ডিজেল পাইপে বাতাস ঢুকলে/ পেট্রোল ইঞ্জিনের এইচ.টি তার বা এলটি তার লুজ হলে বা ছিঁড়ে গেলে /ব্যাটারী চার্জ দূর্বল হলে।

৩১) প্রশ্নঃ স্কিডিং সাধারনতঃ কত প্রকার?

উত্তরঃ স্কিডিং সাধারনতঃ ৩ প্রকারঃ-

ক) সামনের দুই চাকার স্কিডিং।

খ) পিছনের দুই চাকার স্কিডিং।

গ) চার চাকার স্কিডিং।

৩২) প্রশ্নঃ রাস্তায় গাড়ী চলতে চলতে হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কারণ কি?

উত্তরঃ রাস্তায় গাড়ী চলতে চলতে হঠাৎ বন্ধ হওয়ার কারণ হলঃ-

ক) গাড়ীতে জ্বালানি না থাকা।

খ) স্পার্ক প্লাগ খারাপ হওয়া।

৩৩) প্রশ্নঃ শক এবজরভারের কাজ কি?

উত্তরঃ শক এবজরভারের কাজ হল গাড়ীর ঝাকুনি কমানো।

৩৪) প্রশ্নঃ রাস্তায় গাড়ী বের করার পূর্বে গাড়ীর কোন কোন অংশ পরিদর্শন করতে হয়?

উত্তরঃ ক) জালানী (পেট্রোল, ডিপজেল ও অকটেন)।

খ) লুব অয়েল।

গ) রেডিয়েটরের পানির পরিমান।

ঘ) ব্রেক মাষ্টার সিলিন্ডারের ব্রেক ফ্লুইড।

ঙ) চাকার হাওয়ার পরিমান।

চ) চাকার নাট-বোল্ট সঠিক ভাবে আটকানো আছে কিনা।

ছ) ব্রেক সঠিক ভাবে কাজ করে কিনা।

৩৫) প্রশ্নঃ পেট্রোল ইঞ্জিনে ভেপার লক বলতে কি বুঝ?

উত্তরঃ সাধারণত ফুয়েল লাইন অত্যাধিক তাপের ফলে লাইনের ভিতর ভেপার বা বাষ্পের সৃষ্টি হয়। এই বাষ্পের চাপে লাইনের ভিতর জালানী সরবরাহ বন্ধ হওয়াকে ভেপার লক বলে।

৩৬) প্রশ্নঃ ডিজেল ইঞ্জিনে এয়ার লক হয় কিভাবে?

উত্তরঃ ডিজেল ইঞ্জিনের জ্বালানি সরবারহ লাইনে কোন ভাবে বাতাস প্রবেশ করলে এয়ার লক হয়। কিন্তু পাম্পের সাহায্যে পাম্প করে এয়ার ব্লিপিং স্ক্রু লুজ করে বাতাস বের করে এয়ার লক দূর করা যায়।

৩৭) প্রশ্নঃ কি কি লক্ষণ দেখা দিলে ইঞ্জিন ওভার হলিং করা প্রয়োজন?

উত্তরঃ ক) ইঞ্জিনে জ্বালানি এবং লুব-ওয়েল বেশী খরচ হলে।

খ) অত্যাধিক কালো ধোয়া ছাড়লে।

গ) বোঝা বহন ক্ষমতা কমে গেলে।

ঘ) ইঞ্জিনের কম্প্রেশন দুর্বল হলে।

৩৮) প্রশ্নঃ ডিজেল ইঞ্জিন হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণঃ

উত্তরঃ ১। ট্যাংকে ফুয়েল নেই।              ২। ফুয়েল পাম্প অকেজো।

৩। ইনটেক ও এগজষ্ট ভাল্ব কাজ করে না। ৪। গর্ভনর অকেজো।

৫। পিষ্টন ও বিয়ারিং জাম।

৩৯) প্রশ্ন: মোটরযান কাকে বলে ?

উত্তরঃ মোটরযান আইনে মোটরযান অর্থ কোনো যন্ত্রচালিত যান, যার চালিকাশক্তি বাইরের বা ভিতরের কোনো উৎস হতে সরবরাহ হয়ে থাকে।

৪০) প্রশ্ন : গাড়ি চালনার আগে করণীয় কাজ কী কী ?

উত্তরঃ ক. গাড়ির হালনাগাদ বৈধ কাগজপত্র (রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্সটোকেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ইন্সুরেন্স (বিমা) সার্টিফিকেট, রুট পারমিট ইত্যাদি) গাড়ির সঙ্গে রাখা।

খ. গাড়িতে জ্বালানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

গ. রেডিয়েটর ও ব্যাটারিতে পানি আছে কি না পরীক্ষা করা, না থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

ঘ. ব্যাটারি কানেকশন পরীক্ষা করা।

ঙ. লুব/ইঞ্জিন অয়েলের লেবেল ও ঘনত্ব পরীক্ষা করা, কম থাকলে পরিমাণ মতো নেওয়া।

চ. মাস্টার সিলিন্ডারের ব্রেকফ্লুইড, ব্রেকঅয়েল পরীক্ষা করা, কম থাকলে নেওয়া।

ছ. গাড়ির ইঞ্জিন, লাইটিং সিস্টেম, ব্যাটারি, স্টিয়ারিং ইত্যাদি সঠিকভাবে কাজ করছে কি না, নাট-বোল্ট টাইট আছে কি না অর্থাৎ সার্বিকভাবে মোটরযানটি ত্রুটিমুক্ত আছে কি না পরীক্ষা করা।

জ. ব্রেক ও ক্লাচের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা।

ঝ. অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র এবং ফাস্টএইড বক্স গাড়িতে রাখা।

ঞ. গাড়ির বাইরের এবং ভিতরের বাতির অবস্থা, চাকা (টায়ার কন্ডিশন/হাওয়া/নাট/ এলাইমেন্ট/রোটেশন/স্পেয়ার চাকা) পরীক্ষা করা।

৪১) প্রশ্ন: মোটরযানের মেইনটেনেন্স বা রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ ত্রুটিমুক্ত অবস্থায় একটি গাড়ি হতে দীর্ঘদিন সার্ভিস পাওয়ার জন্য প্রতিদিন গাড়িতে যে সমস্ত মেরামত কাজ করা হয়, তাকে মোটরযানের মেইনটেনেন্স বলে।

৪২) প্রশ্ন: একটি মোটরযানে প্রতিদিন কী কী মেইনটেনেন্স করতে হয় ?

উত্তরঃ ৩৯ নং প্রশ্নের উত্তরের খ থেকে ঞ পর্যন্ত।

৪৩) প্রশ্ন: সার্ভিসিং বলতে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ মোটরযানের ইঞ্জিন ও বিভিন্ন যন্ত্রাংশের কার্যক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য নির্দিষ্ট সময় পরপর যে কাজগুলো করা হয়, তাকে সার্ভিসিং বলে।

৪৪) প্রশ্ন : গাড়ি সার্ভিসিংয়ে কী কী কাজ করা হয় ?

উত্তরঃ ক. ইঞ্জিনের পুরাতন লুবঅয়েল (মবিল) ফেলে দিয়ে নতুন লুবঅয়েল দেওয়া। নতুন লুবঅয়েল দেওয়ার আগে ফ্লাশিং অয়েল দ্বারা ফ্লাশ করা।

খ. ইঞ্জিন ও রেডিয়েটরের পানি ড্রেন আউট করে ডিটারজেন্ট ও ফ্লাশিংগান দিয়ে পরিষ্কার করা, অতঃপর পরিষ্কার পানি দিয়ে পূর্ণ করা।

গ. ভারী মোটরযানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রিজিং পয়েন্টে গ্রিজগান দিয়ে নতুন গ্রিজ দেওয়া।

ঘ. গাড়ির স্পেয়ার হুইলসহ প্রতিটি চাকাতে পরিমাণমতো হাওয়া দেওয়া।

ঙ. লুবঅয়েল (মবিল) ফিল্টার, ফুয়েল ফিল্টার ও এয়ারক্লিনার পরিবর্তন করা।

৪৫) প্রশ্ন : গাড়ি চালনাকালে কী কী কাগজপত্র গাড়ির সঙ্গে রাখতে হয় ?

উত্তরঃ ক. ড্রাইভিং লাইসেন্স, খ. রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (ব্লু-বুক), গ. ট্যাক্সটোকেন, ঘ. ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট, ঙ.ফিটনেস সার্টিফিকেট (মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) এবং চ. রুটপারমিট (মোটরসাইকেল এবং চালক ব্যতীত সর্বোচ্চ ৭ আসন বিশিষ্ট ব্যক্তিগত যাত্রীবাহী গাড়ির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)।

৪৬) প্রশ্ন : রাস্তায় গাড়ির কাগজপত্র কে কে চেক করতে পারেন/কোন কোন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণকে গাড়ির কাগজ দেখাতে বাধ্য ?

উত্তরঃ সার্জেন্ট বা সাব-ইনসপেক্টরের নিচে নয় এমন পুলিশ কর্মকর্তা, মোটরযান পরিদর্শকসহ বিআরটিএর কর্মকর্তা এবং মোবাইলকোর্টের কর্মকর্তা।

৪৭) প্রশ্ন : মোটরসাইকেলে হেলমেট পরিধান ও আরোহী বহন সম্পর্কে আইন কী ?

উত্তরঃ মোটরসাইকেলে চালক ব্যতীত ১ জন আরোহী বহন করা যাবে এবং উভয়কেই হেলমেট পরিধান করতে হবে (মোটরযান অধ্যাদেশ, ১৯৮৩ এর ধারা-১০০)।

৪৮) প্রশ্ন : সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ কী কী?

উত্তরঃ
ক. অত্যধিক আত্মবিশ্বাস,
খ. মাত্রাতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো,
গ. অনুমোদিত ওভারটেকিং এবং
ঘ. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন।

৪৯) প্রশ্ন : গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে চালকের করণীয় কী ?

উত্তরঃ আহত ব্যক্তির চিকিৎসা নিশ্চিত করা, প্রয়োজনে নিকটস্থ হাসপাতালে স্থানান্তর করা এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিকটবর্তী থানায় দুর্ঘটনার বিষয়ে রিপোর্ট করা।

৫০) প্রশ্ন : আইন অনুযায়ী গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা কত ?

উত্তরঃ হালকা মোটরযান ও মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭০ মাইল, মাঝারি বা ভারী যাত্রীবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩৫ মাইল এবং মাঝারি বা ভারী মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০ মাইল।

৫১) প্রশ্ন : মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স কী ?

উত্তরঃ সর্বসাধারণের ব্যবহার্য স্থানে মোটরযান চালানোর জন্য লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যুকৃত বৈধ দলিলই মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স।

৫২) প্রশ্নঃ অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে লাইসেন্স দিয়ে একজন চালক কারও বেতনভোগী কর্মচারী না হয়ে মোটর সাইকেল, হালকা মোটরযান এবং অন্যান্য মোটরযান (পরিবহনযান ব্যতীত) চালাতে পারে, তাকে অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স বলে।

৫৩) প্রশ্ন : ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন বয়স কত ? 

উত্তরঃ পেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং অপেশাদার চালকের ক্ষেত্রে ১৮ বছর।

৫৪) প্রশ্ন : কোন কোন ব্যক্তি ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে ?

উত্তরঃ মৃগীরোগী, উন্মাদ বা পাগল, রাতকানারোগী, কুষ্ঠরোগী, হৃদরোগী, অতিরিক্ত মদ্যপব্যক্তি, বধিরব্যক্তি এবং বাহু বা পা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে অসুবিধা হয় এমন ব্যক্তি।

৫৫) প্রশ্ন : হালকা মোটরযান কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই/ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক নয়, তাকে হালকা মোটরযান বলে।

৫৬) প্রশ্ন : মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই/ওজন ৬,০০০ পাউন্ড বা ২,৭২৭ কেজির অধিক কিন্তু ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক নয়, তাকে মধ্যম বা মাঝারি মোটরযান বলে।

৫৭) প্রশ্ন : ভারী মোটরযান কাকে বলে ?

উত্তরঃ যে মোটরযানের রেজিস্ট্রিকৃত বোঝাই/ওজন ১৪,৫০০ পাউন্ড বা ৬,৫৯০ কেজির অধিক, তাকে ভারী মোটরযান বলে।

৫৮) প্রশ্ন: প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান (non-public service car) কাকে বলে ?

উত্তরঃ ড্রাইভার ব্যতীত আটজনের বেশি যাত্রী বহনের উপযোগী যে মোটরযান মালিকের পক্ষে তার ব্যবসা সম্পর্কিত কাজে এবং বিনা ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য ব্যবহৃত হয়, তাকে প্রাইভেট সার্ভিস মোটরযান বলে।

৫৯) প্র্রশ্নঃ ট্রাফিক সাইন বা রোড সাইন (চিহ্ন) প্রধানত কত প্রকার ও কী কী ?

উত্তরঃ ট্রাফিক সাইন বা চিহ্ন প্রধানত তিন প্রকার।
ক. বাধ্যতামূলক, যা প্রধানত বৃত্তাকৃতির হয়,
খ. সতর্কতামূলক, যা প্রধানত ত্রিভুজাকৃতির হয় এবং
গ. তথ্যমূলক, যা প্রধানত আয়তক্ষেত্রাকার হয়।

৬০) প্রশ্ন : লাল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে ?

উত্তরঃ নিষেধ বা করা যাবে না বা অবশ্য বর্জনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

৬১) প্রশ্ন : নীল বৃত্তাকার সাইন কী নির্দেশনা প্রদর্শন করে ?

উত্তরঃ করতে হবে বা অবশ্য পালনীয় নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

৬২) প্রশ্ন : লাল ত্রিভুজাকৃতির সাইন কী নিদের্শনা প্রদর্শন করে ?

উত্তরঃ সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদর্শন করে।

৬৩) প্রশ্ন : নীল রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন ?

উত্তরঃ সাধারণ তথ্যমূলক সাইন

৬৪) প্রশ্ন : সবুজ রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তরঃ পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা জাতীয় মহাসড়কে ব্যবহৃত হয়।

৬৫) প্রশ্ন : কালো বর্ডারের সাদা রঙের আয়তক্ষেত্র কোন ধরনের সাইন?

উত্তরঃ এটিও পথনির্দেশক তথ্যমূলক সাইন, যা মহাসড়ক ব্যতীত অন্যান্য সড়কে ব্যবহৃত হয়।

৬৬) প্রশ্ন : ট্রাফিক সিগন্যাল বা সংকেত কত প্রকার ও কী কী ?

উত্তরঃ ৩ (তিন) প্রকার। যেমনঃ (ক) বাহুর সংকেত, (খ) আলোর সংকেত ও (গ) শব্দ সংকেত।

৬৭) প্রশ্ন :  ট্রাফিক লাইট সিগন্যালের চক্র বা অনুক্রম (sequence) গুলি কী কী ?

উত্তরঃ  লাল-সবুজ-হলুদ এবং পুনরায় লাল।

৬৮) প্রশ্ন : লাল, সবুজ ও হলুদ বাতি কী নির্দেশনা প্রদশন করে ?

উত্তরঃ লালবাতি জ্বললে গাড়িকে থামুনলাইন এর পেছনে থামায়ে অপেক্ষা করতে হবে, সুবজবাতি জ্বললে গাড়ি নিয়ে অগ্রসর হওয়া যাবে এবং হলুদবাতি জ্বললে গাড়িকে থামানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে।

৬৯) প্রশ্নঃ নিরাপদ দূরত্ব বলতে কী বুঝায়?

উত্তরঃ সামনের গাড়ির সাথে সংঘর্ষ এড়াতে পেছনের গাড়িকে নিরাপদে থামানোর জন্য যে পরিমাণ দূরত্ব বজায় রেখে গাড়ি চালাতে হয় সেই পরিমাণ দূরত্বকে নিরাপদ দূরত্ব বলে।

৭০) প্রশ্ন : পাহাড়ি ও ঢাল/চূড়ায় রাস্তায় গাড়ি কোন গিয়ারে চালাতে হয় ?

উত্তরঃ ফার্স্ট গিয়ারে। কারণ ফার্স্ট গিয়ারে গাড়ি চালানোর জন্য ইঞ্জিনের শক্তি বেশি প্রয়োজন হয়।

৭১) প্রশ্ন : পাকা ও ভালো রাস্তায় ৫০ মাইল গতিতে গাড়ি চললে নিরাপদ দূরত্ব কত হবে ?

উত্তরঃ ৫০ গজ বা ১৫০ ফুট।

৭২) প্রশ্ন : লাল বৃত্তে ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ গাড়ির সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৭৩) প্রশ্ন : নীল বৃত্তে ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. লেখা থাকলে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ সর্বনিম্ন গতিসীমা ঘণ্টায় ৫০ কি.মি. অর্থাৎ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটারের কম গতিতে গাড়ি চালানো যাবে না।

৭৪) প্রশ্ন : লাল বৃত্তের মধ্যে হর্ন আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ হর্ন বাজানো নিষেধ

৭৫) প্রশ্ন : লাল বৃত্তের ভিতরে একটি বড় বাসের ছবি থাকলে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ বড় বাস প্রবেশ নিষেধ।

৭৬) প্রশ্ন : লাল বৃত্তে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায় ? 

উত্তরঃ পথচারী পারাপার নিষেধ

৭৭) প্রশ্ন : লাল ত্রিভুজে একজন চলমান মানুষের ছবি আঁকা থাকলে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ সামনে পথচারী পারাপার, তাই সাবধান হতে হবে।

৭৮) প্রশ্ন : লাল বৃত্তের ভিতর একটি লাল ও একটি কালো গাড়ি থাকলে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ ওভারটেকিং নিষেধ

৭৯) প্রশ্ন : আয়তক্ষেত্রে ‘P’ লেখা থাকলে কী বুঝায় ?

উত্তরঃ  পার্কিংয়ের জন্য নির্ধারিত স্থান।

৮০) প্রশ্ন : কোন কোন স্থানে গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ ?

উত্তরঃ নীরব এলাকায় গাড়ির হর্ন বাজানো নিষেধ। হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত, উপাসনালয় বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহের চতুর্দিকে ১০০ মিটার পর্যন্ত এলাকা নীরব এলাকা হিসাবে চিহ্নিত।

৮১) প্রশ্ন : কোন কোন স্থানে ওভারটেক করা নিষেধ ?

উত্তরঃ (ক) ওয়ারটেকিং নিষেধ সম্বলিত সাইন থাকে এমন স্থানে, (খ) জাংশনে, (গ) ব্রিজ/কালভার্ট ও তার আগে পরে নির্দিষ্ট দূরত্ব, (ঘ) সরু রাস্তায়, (ঙ) হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়।

৮২) প্রশ্ন : কোন কোন স্থানে গাড়ি পার্ক করা নিষেধ ?

উত্তরঃ (ক) যেখানে পার্কিং নিষেধ বোর্ড আছে এমন স্থানে, (খ) জাংশনে, (গ) ব্রিজ বা কালভার্টের ওপর, (ঘ) সরু রাস্তায়, (ঙ) হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এলাকায়, (চ) পাহাড়ের ঢালে ও ঢালু রাস্তায়, ফুটপাত, পথচারী পারাপার এবং তার আশেপাশে, (ছ) বাস স্টপেজ ও তার আশেপাশে (জ) রেলক্রসিং ও তার আশেপাশে।

৮৩) প্রশ্ন : গাড়ি রাস্তার কোনপাশ দিয়ে চলাচল করবে ?

উত্তরঃ গাড়ি রাস্তার বামপাশ দিয়ে চলাচল করবে। যে রাস্তায় একাধিক লেন থাকবে সেখানে বামপাশের লেনে ধীর গতির গাড়ি, আর ডানপাশের লেনে দ্রæত গাতির গাড়ি চলাচল করবে।

৮৪) প্রশ্ন : কখন বামদিক দিয়ে ওভারটেক করা যায় ?

উত্তরঃ যখন সামনের গাড়ি চালক ডানদিকে মোড় নেওয়ার ইচ্ছায় যথাযথ সংকেত দিয়ে রাস্তার মাঝামাঝি স্থানে যেতে থাকবেন তখনই পেছনের গাড়ির চালক বামদিক দিয়ে ওভারটেক করবেন।

৮৫) প্রশ্ন : চলন্ত অবস্থায় সামনের গাড়িকে অনুসরণ করার সময় কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত? 

উত্তরঃ (ক) সামনের গাড়ির গতি (স্পিড) ও গতিবিধি, (খ) সামনের গাড়ি থামার সংকেত দিচ্ছে কি না,  (গ) সামনের গাড়ি ডানে/বামে ঘুরার সংকেত দিচ্ছে কি না, (ঘ) সামনের গাড়ি হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় থাকছে কি না।

৮৬) প্রশ্ন : রাস্তারপাশে সতর্কতামূলক ‘‘স্কুল/শিশু” সাইন বোর্ড থাকলে চালকের করণীয় কী?

উত্তরঃ (ক) গাড়ির গতি কমিয়ে রাস্তার দু-পাশে ভালো ভাবে দেখে-শুনে সতর্কতার সাথে অগ্রসর হতে হবে। (খ) রাস্তা পারাপারের অপেক্ষায় কোনো শিশু থাকলে তাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

৮৭) প্রশ্ন : গাড়ির গতি কমানোর জন্য চালক হাত দিয়ে কীভাবে সংকেত দিবেন ?

উত্তরঃ চালক তার ডানহাত গাড়ির জানালা দিয়ে সোজাসুজি বের করে ধীরে ধীরে উপরে-নীচে উঠানামা করাতে থাকবেন।

৮৮) প্রশ্ন : লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং কত প্রকার ও কী কী ?

উত্তরঃ লেভেলক্রসিং বা রেলক্রসিং ২ প্রকার। (ক) রক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদার নিয়ন্ত্রিত রেলক্রসিং, (খ) অরক্ষিত রেলক্রসিং বা পাহারাদারবিহীন রেলক্রসিং।

৮৯) প্রশ্নঃ রক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী ?

উত্তরঃ গাড়ির গতি কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে। যদি রাস্তা বন্ধ থাকে তাহলে গাড়ি থামাতে হবে, আর খোলা থাকলে ডানেবামে ভালোভাবে দেখে অতিক্রম করতে হবে।

৯০) প্রশ্নঃ অরক্ষিত লেভেলক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী ?

উত্তরঃ গাড়ির গতি একদম কমিয়ে সতর্কতার সাথে সামনে আগাতে হবে, প্রয়োজনে লেভেলক্রসিংয়ের নিকট থামাতে হবে। এরপর ডানেবামে দেখে নিরাপদ মনে হলে অতিক্রম করতে হবে।

৯১) প্রশ্ন: বিমানবন্দরের কাছে চালককে সতর্ক থাকতে হবে কেন ?

উত্তরঃ (ক) বিমানের প্রচন্ড শব্দে গাড়ির চালক হঠাৎ বিচলিত হতে পারেন, (খ) সাধারণ শ্রবণ ক্ষমতার ব্যাঘাত ঘটতে পারে, (গ) বিমানবন্দরে ভিভিআইপি/ভিআইপি বেশি চলাচল করে বিধায় এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হয়।

৯২) প্রশ্নঃ মোটরসাইকেল চালক ও আরোহীর হেলমেট ব্যবহার করা উচিত কেন ?

উত্তরঃ মানুষের মাথা শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মধ্যে সবচেয়ে বেশি স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এখানে সামান্য আঘাত লাগলেই মানুষের মৃত্যু ঘটতে পারে। তাই দুর্ঘটনায় মানুষের মাথাকে রক্ষা করার জন্য হেলমেট ব্যবহার করা উচিত।

৯৩) প্রশ্ন: গাড়ির পেছনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য কতক্ষণ পর পর লুকিং গ্লাস দেখতে হবে ?

উত্তরঃ প্রতিমিনিটে ৬ থেকে ৮ বার।

৯৪) প্রশ্নঃ পাহাড়ি রাস্তায় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় ?

উত্তরঃ সামনের গাড়ি থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে ১ নং গিয়ারে বা ফার্স্ট গিয়ারে সতর্কতার সাথে ধীরে ধীরে ওপরে উঠতে হবে। পাহাড়ের চূড়ার কাছে গিয়ে আরো ধীরে উঠতে হবে, কারণ চূড়ায় দৃষ্টিসীমা অত্যন্ত সীমিত। নিচে নামার সময় গাড়ির গতি ক্রমে বাড়তে থাকে বিধায় সামনের গাড়ি থেকে বাড়তি দূরত্ব বজায় রেখে নামতে হবে। ওঠা-নামার সময় কোনোক্রমেই ওভারটেকিং করা যাবে না।

৯৫) প্রশ্নঃ বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালনার বিষয়ে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় ?

উত্তরঃ বৃষ্টির সময় রাস্তা পিচ্ছিল থাকায় ব্রেক কম কাজ করে। এই কারণে বাড়তি সতর্কতা হিসাবে ধীর গতিতে (সাধারণ গতির চেয়ে অর্ধেক গতিতে) গাড়ি চালাতে হবে, যাতে ব্রেক প্রয়োগ করে অতি সহজেই গাড়ি থামানো যায়। অর্থাৎ ব্রেক প্রয়োগ করে গাড়ি যাতে অতি সহজেই থামানো বা নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সেইরূপ ধীর গতিতে বৃষ্টির মধ্যে গাড়ি চালাতে হবে।

৯৬) প্রশ্ন : ব্রিজে ওঠার পূর্বে একজন চালকের করণীয় কী ?

উত্তরঃ ব্রিজ বিশেষকরে উঁচু ব্রিজের অপরপ্রান্ত থেকে আগত গাড়ি সহজে দৃষ্টিগোচর হয় না বিধায় ব্রিজে ওঠার পূর্বে সতর্কতার সাথে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠতে হবে। তাছাড়া, রাস্তার তুলনায় ব্রিজের প্রস্থ অনেক কম হয় বিধায় ব্রিজে কখনো ওভারটেকিং করা যাবে না।

৯৭) প্রশ্ন : পার্শ্বরাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়?

উত্তরঃ পার্শ্বরাস্তা বা ছোট রাস্তা থেকে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করার আগে গাড়ির গতি কমিয়ে, প্রয়োজনে থামিয়ে, প্রধান রাস্তার গাড়িকে নির্বিঘেœ আগে যেতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রধান সড়কে গাড়ির গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে সুযোগমত সতর্কতার সাথে প্রধান রাস্তায় প্রবেশ করতে হবে।

 ৯৮) প্রশ্ন : রাস্তার ওপর প্রধানত কী কী ধরনের রোডমার্কিং অঙ্কিত থাকে ?

উত্তরঃ রাস্তার ওপর প্রধানত ০৩ ধরনের রোডমাকিং অঙ্কিত থাকে।

(ক) ভাঙালাইন, যা অতিক্রম করা যায়।

(খ) একক অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ, তবে প্রয়োজনবিশেষ অতিক্রম করা যায়।

(গ) দ্বৈত অখন্ডলাইন, যা অতিক্রম করা নিষেধ এবং আইনত দন্ডনীয় এই ধরনের লাইন দিয়ে ট্রাফিকআইল্যান্ড বা রাস্তার বিভক্তি বুঝায়।

৯৯) প্রশ্ন : জেব্রাক্রসিংয়ে চালকের কর্তব্য কী ?

উত্তরঃ জেব্রাক্রসিংয়ে পথচারীদের অবশ্যই আগে যেতে দিতে হবে এবং পথচারী যখন জেব্রাক্রসিং দিয়ে পারাপার হবে তখন গাড়িকে অবশ্যই তার আগে থামাতে হবে। জেব্রাক্রসিংয়ের ওপর গাড়ি থামানো যাবে না বা রাখা যাবে না।

১০০) প্রশ্ন : কোন কোন গাড়িকে ওভারটেক করার সুযোগ দিতে হবে ?

উত্তরঃ যে গাড়ির গতি বেশি, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস ইত্যাদি জরুরি সার্ভিস, ভিআইপি গাড়ি ইত্যাদিকে।

১০১) প্রশ্ন : হেড লাইট ফ্ল্যাশিং বা আপার ডিপার ব্যবহারের নিয়ম কী ?

উত্তরঃ শহরের মধ্যে সাধারণত ‘লো-বিম বা ডিপার বা মৃদুবিম’ ব্যবহার করা হয়। রাতে কাছাকাছি গাড়ি না থাকলে অর্থাৎ বেশিদূর পর্যন্ত দেখার জন্য হাইওয়ে ও শহরের বাইরের রাস্তায় ‘হাই বা আপার বা তী² বিম’ ব্যবহার করা হয়। তবে, বিপরীতদিক থেকে আগত গাড়ি ১৫০ মিটারের মধ্যে চলে আসলে হাইবিম নিভিয়ে লো-বিম জ্বালাতে হবে। অর্থাৎ বিপরীতদিক হতে আগত কোনো গাড়িকে পাস/পার হওয়ার সময় লো-বিম জ্বালাতে হবে।

১০২) প্রশ্ন : গাড়ির ব্রেক ফেল করলে করণীয় কী ?

উত্তরঃ গাড়ির ব্রেক ফেল করলে প্রথমে অ্যাক্সিলেটর থেকে পা সরিয়ে নিতে হবে। ম্যানুয়াল গিয়ার গাড়ির ক্ষেত্রে গিয়ার পরিবর্তন করে প্রথমে দ্বিতীয় গিয়ার ও পরে প্রথম গিয়ার ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে গাড়ির গতি অনেক কমে যাবে। এই পদ্ধতিতে গাড়ি থামানো সম্ভব না হলে রাস্তার আইল্যান্ড, ডিভাইডার, ফুটপাত বা সুবিধামত অন্যকিছুর সাথে ঠেকিয়ে গাড়ি থামাতে হবে। ঠেকানোর সময় যানমালের ক্ষয়ক্ষতি যেনো না হয় বা কম হয় সেইদিকে সজাগ থাকতে হবে।

১০৩) প্রশ্ন : গাড়ির চাকা ফেটে গেলে করণীয় কী ?

উত্তরঃ  গাড়ির চাকা ফেটে গেলে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এই সময় গাড়ির চালককে স্টিয়ারিং দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে হবে এবং অ্যাক্সিলেটর থেকে পা সরিয়ে ক্রমান্বয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে ব্রেক করে গাড়ি থামাতে হবে। চলন্ত অবস্থায় গাড়ির চাকা ফেটে গেলে সাথে সাথে ব্রেক করবেন না। এতে গাড়ি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।

১০৪) প্রশ্ন : হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি কী ?

উত্তরঃ প্রতিটি গাড়ির সামনে ও পিছনে উভয়পাশের কর্ণারে একজোড়া করে মোট দু-জোড়া ইন্ডিকেটর বাতি থাকে। এই চারটি ইন্ডিকেটর বাতি সবগুলো একসাথে জ্বললে এবং নিভলে তাকে হ্যাজার্ড বা বিপদ সংকেত বাতি বলে। বিপজ্জনক মুহূর্তে, গাড়ি বিকল হলে এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এই বাতিগুলো ব্যবহার করা হয়।

১০৫) প্রশ্ন : গাড়ির ড্যাশবোর্ডে কী কী ইনস্ট্রুমেন্ট  থাকে ?

উত্তরঃ (ক) স্পিডোমিটার- গাড়ি কত বেগে চলছে তা দেখায়।

(খ) ওডোমিটার – তৈরির প্রথম থেকে গাড়ি কত কিলোমিটার বা মাইল চলছে তা দেখায়।

(গ) ট্রিপমিটার- এক ট্রিপে গাড়ি কত কিলোমিটার/মাইল চলে তা দেখায়।

(ঘ) টেম্পারেচার গেজ- ইঞ্জিনের তাপমাত্রা দেখায়।

(ঙ) ফুয়েল গেজ- গাড়ির তেলের পরিমাণ দেখায়।

১০৬) প্রশ্ন : গাড়িতে কী কী লাইট থাকে ?

উত্তরঃ (ক) হেডলাইট (খ) পার্কলাইট (গ) ব্রেকলাইট (ঘ) রিভার্সলাইট

(ঙ) ইন্ডিকেটরলাইট (চ) ফগ লাইট (ছ) নাম্বারপ্লেট লাইট।

১০৭) প্রশ্ন : গাড়ির সামনে ও পিছনে লাল রঙের ইংরেজি  L অক্ষরটি বড় আকারে লেখা থাকলে এরদ্বারা কী বুঝায় ?

উত্তরঃ এটি একটি শিক্ষানবিশ ড্রাইভার চালিত গাড়ি। এই গাড়ি হতে সাবধান থাকতে হবে।

BRTA Fees Calculator 

One of probably the most helpful instruments that you will discover on the official BRTA web site is the charges calculator. That lets you calculate all of the charges of your car simply. If you haven’t checked the BRTA charges calculator earlier than, it may be slightly tough to make use of at first.

Below, we’ll undergo the steps which you can observe to get probably the most out of the BRTA Fees Calculator and get probably the most correct info with out working into any errors. So, let’s take a look at the steps proper now.

  • First, open your favourite web browser and go to https://bsp.brta.gov.bd/.
  • Now, scroll down from the web page and click on on the Fee Calculator proper underneath the Services & Information menu bar within the center.
  • That ought to take you to a model new web page. Here, you’ll have to select from the New Vehicle Related Fees/Registered Vehicle Related Fees choice in response to your car.
  • Once you click on on that, you ought to be directed straight to the calculator. Finally, you may put all of the required info on the empty bins and click on on calculate. That ought to do the calculations for you.

BRTA Driving Licence Fee

Let’s take a look at the BRTA driving license price down beneath.

  • The Learner Driving license price is 345 taka and 518 takas for one and two-seater motorbikes.
  • If you wish to get an expert good card driving license, you’ll must pay 1680 taka, which has an expiration date of 5 years.
  • But in case you simply wish to get an everyday good card driving license, then you definitely’ll must pay a price of 2742 taka, which has an expiration date of 10 years.
  • Renewing an expert driving license price is 1565 taka whereas the common one is 2427 taka. That’s in case you pay the charges throughout the subsequent 15 days from expiry.
  • If you turn into late, you’ll must pay a superb of 230 takas.
  • The price for getting a high-security driving license copy is 875 taka.

Final Words

Hopefully, now you might have an concept concerning the BRTA driving license examination questions, driving license price, and costs calculator. Make certain to undergo the data once more in case you nonetheless really feel confused about something.

About Author

I hope you might be having fun with this text. Thanks for visiting this web site.

Exit mobile version