নতুন শপথ বাক্য পাঠের নিয়ম
নতুন শপথ বাক্য পাঠের নিয়ম
নতুন শপথ বাক্য কিভাবে পাঠ করবেন? শপথ বাক্য কি? এই নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করছেন। কারণ সকল শিক্ষার প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুনভাবে শপথ বাক্যের নোটিশ প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়। এখন থেকে এই শপথ পাঠ করানো হবে সকল ক্রমের শিক্ষার্থীদের। তাই প্রত্যেক শ্রেণীর শিক্ষার্থীরাই জানতে চাচ্ছেন এই শপথ বাক্য কেমন? তাই তারা অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন। আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শপথ বাক্য সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। কারণ ২০২৩ সালের শপথ বাক্যটি আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুন্দরভাবে পিডিএফ আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। তাই আপনি যদি এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে চান পুরো আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এবং আপনার প্রয়োজনে তথ্যটি তাৎক্ষণাৎ সংগ্রহ করে নিন।
Table of Contents
নতুন শপথ বাক্য পাঠের নিয়ম
দেশের প্রায় সব ইস্কুলে শপথ বাক্যের পাঠ করার ব্যাপারে নির্দেশনা প্রদান করেছে। ২০২২ সাল থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য এই বাক্য সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই শপথ বাক্যটি পাঠ করানো হবে। এই উদ্দেশ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে জারিকৃত অফিস আদেশ সংক্রান্ত নোটিশ বিজ্ঞপ্তি যারা জানতে চাচ্ছেন। তারা নিচে দেওয়া তথ্যের মাধ্যমে খুব সহজে এ বিষয়ে সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন। শপথ বাক্যটি কত লাইনের। এবং কোথায় পাবেন তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য থাকছে আজকের আর্টিকেলে। তাই এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পুরো আর্টিকেলটি আপনাকে সুন্দরভাবে পড়তে হবে।
শপথ বাক্য ২০২৩ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
নোটিশ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিদিন এসেম্বলি/সমাবেশে জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর পর যে শপথ বাক্য পাঠ করতে হয় এই শপথ পাঠ করতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারি সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রচারিত সমাবেশে তা বাধ্যতামূলক।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রত্যাহিত সমাবেশ কালী জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর জন্য শপথ বাক্য পাঠ সংক্রান্ত। উপর যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে সরকার মাঠ পর্যায়ের ইংরেজি মাধ্যম/বিদেশি কারিকুলাম এর পরিচালিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ সকল সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রত্যাহিত সমাবেশ কালে নিম্নরূপ শপথ পাঠে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
২০২৩ শপথ বাক্য পাঠের নিয়ম
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুক্তি সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা।
আমি দৃপ্ত কন্ঠে শপথ করছি যে, শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসবো, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলবো।
মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।”
*এমন অবস্থায় ইংরেজি মাধ্যম/বিদ্বেষী কারিকুলামে পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যহিত সমাবেশ কালে উক্তরূপ শপথ বাক্য পাঠের প্রয়োজনীয়তা ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
আগের শপথ বাক্য
আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব। হে আল্লাহ আমাকে শক্তি দিন-আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।